শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
✆ন্যাশনাল কল সেন্টার:৩৩৩| স্বাস্থ্য বাতায়ন:১৬২৬৩|আইইডিসিআর:১০৬৬৫|বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন:০৯৬১১৬৭৭৭৭৭
সংবাদ শিরোনাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসহাক এর দাফন সম্পন্ন ঈদ মুবারক চট্টগ্রামে একুশের কণ্ঠ’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বান্দরবানে কম্বিং অপারেশন শুরু : সেনাপ্রধান শবেকদর সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে যা বলা হয়েছে মক্কায় ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবদুল হাকিমের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আমুচিয়া ইউনিয়নের ইমাম, মোয়াজ্জিনদের মাঝে প্রবাসী এমদাদুল ইসলামের ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ জেলা প্রশাসকের নিকট বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ’র স্মারকলিপি প্রদান বোয়ালখালীতে জোরপূর্বক জায়গা দখলের পাঁয়তারা অনেকটা অভিমান নিয়েই যেন চলে গেলেন মোহাম্মদ ইউসুফ : ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া

বিশ্ব ইতিহাসে জ্যোতির্ময় মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

ফেইসবুকে নিউজটি শেয়ার করুন...

সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম:
বাঙালির শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস আগস্ট মাস। বাংলাদেশ ও বাঙালির সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ও শোকের মাস। বেদনাবিধুর এ মাসে জাতি হারিয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু শুধু একটি শব্দ নয়। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্থপতি। সব থেকে সফল বাঙালি রাজনৈতিক নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতি বছর দিনটি আসে বাঙালির হৃদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। পুরো জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করে।
বিশ্ব ইতিহাসে জ্যোতির্ময় মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষকে আজীবন শুধু দিয়েই গেছেন। তিনি দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূখন্ড, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, জাতীয় সংগীত, সংবিধান ও বিশ্বের বুকে গর্বিত পরিচয়। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বাংলার দুঃখী মানুষের বন্ধু, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা তিনি। আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি জন্মেছিলেন বলেই এই স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি। তিনি যদি না জন্মাতেন আমরা আজও পাকিস্তানের দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ থাকতাম। আজ জাতির পিতাকে হারিয়ে আমরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি তার অভাব।
বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বাঙালির মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনে একটিই ব্রত ছিল—বাংলা ও বাঙালির মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা। তার অনুভবে ছিল বাংলার স্বাধীনতা, ছিল রাজশোষকদের কবল থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তি। এর শুরু ১৯৪৮ সাল থেকে। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে আমরা বাঙালিরা নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হব। তাই এ থেকে জনগণের মুক্তির জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামের পথ। ১৯৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারির মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৫৬-এর শাসনতন্ত্রের জন্য আন্দোলন, ’৬২-এর ১৭ সেপ্টেম্বরের শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৩-এর রবীন্দ্রচর্চা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়- প্রতিটি ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর ছিল বলিষ্ঠ নেতৃত্ব।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সবার বাকস্বাধীনতা, অর্থনৈতিক শোষণমুক্তি, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে বাঙালির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, সার্বিকভাবে সব নাগরিকের কল্যাণময় জীবন। নিপীড়িত গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রাণ কাঁদত। বাঙালির জীবন থেকে অমানিশা দূর করতে তেজোদৃপ্ত সংগ্রামী চেতনায় সর্বাত্মকভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। দাপিয়ে বেড়ান বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। মানুষের মুক্তির জন্য স্বাধীনতার দাবিতে গতিশীল নেতৃত্ব দিয়ে চলেন সারা বাংলায়। আন্দোলনের শীর্ষ অবস্থানে থেকে সব মানুষকে একত্রিত কওে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন সারা জাতিকে। হয়ে উঠেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। বাংলার মানুষের কাছ থেকে উপাধি পান বঙ্গবন্ধু। উত্তাল আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার পথচলা। এই পথচলা কোনো শক্তি দমাতে পারেনি। বাংলার মানুষের মুক্তি না আসা পর্যন্ত তিনি ছিলেন এক আপসহীন দেশপ্রেমিক, দিগ্বিজয়ী সেনাপতি। ডাক দিয়েছেন স্বাধীনতার। বলেছেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু ছিল বঙ্গবন্ধুর নিত্যসঙ্গী। জেলজুলুমের শিকার হয়েছেন। এমনকি তিনি নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন বহুবার। একাধিকবার ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হয়েছিল তার জন্য। কিন্তু বাঙালির প্রতি তার বিশ্বাস ও আস্থা ছিল আকাশচুম্বী। সেজন্যই দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে হাসিমুখে, নির্ভীকচিত্তে মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সব ধরনের জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন বরণ করেছেন। মোটেও পিছু হটেননি। নেতৃত্বের অসাধারণ গুণে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জয়।
স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে যাকে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সমগ্র স্বাধীনতা যুদ্ধ যার নামে পরিচালিত হয়েছে। যার নাম ছিল আমরণ স্বাধীনতা যুদ্ধের তূর্যনিনাদ। যার বজ্রকন্ঠের আওয়াজ ছিল রণভেরী। যিনি সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, ঠিক তখনই তিনি সপরিবার শেষ হয়ে গেলেন। স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র, ঘরের শত্রু বিভীষণ তাকে হত্যা করে। আগস্টের এমনি দিনে কাক ডাকা ভোরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে কাপুর“ষোচিত হামলা চালায় ঘাতকরা। হামলায় ভবনের প্রতিটি তলার দেয়াল, জানালার কাচ, মেঝে ও ছাদে রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁজরা হয়ে যায়। চারপাশে রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায় ঘরের জিনিসপত্র। দেখা যায়, প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে রয়েছেন চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ। তার তলপেট ও বুক ছিল বুলেটে ঝাঁজরা। পাশেই পড়ে ছিল তার ভাঙা চশমা ও অতি প্রিয় তামাকের পাইপ। ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নব-পরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনকের ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন। শুধুমাত্র তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা সে সময় জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ভয়াবহভাবে হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী, বাংলাদেশ বিরোধী দেশীয় বেইমান ও তাদের আন্তর্জাতিক মুরুব্বিদের পরাজয়ের সুপরিকল্পিত জঘন্য ও কাপুরুষোচিত নির্মম প্রতিশোধ ছিল এই রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে বিভীষিকাময় একটি ঘটনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড। হত্যাকারীরা শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি। বঙ্গবন্ধুর গড়া ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশটাও হত্যা করে। ষড়যন্ত্রকারীরা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরো বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। দেশ ও জাতিকে বিপথগামী করে। বাংলাদেশ নিমজ্জিত হয় গভীর অন্ধকার গহ্বরে। এদেশের মানুষ দীর্ঘদিন নিপীড়িত হয় এদেশেরই উর্দিপরা, মুখোশ পরা ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে। যারা মেকি গণতন্ত্রের নামে পকেটে পুরে নেয় পুরো দেশকে। চেপে বসে স্বৈরশাসন। জাতির টুঁটি চেপে ধরে সাম্প্রদায়িকতা। দেশের ভেতরে বেড়ে যায় অপশক্তির তৎপরতা। নৈতিকতা-মূল্যবোধ-সততা ও আদর্শহীন কিছু মানুষের ক্ষমতা এবং বিত্তের প্রতি লোভ থমকে দেয় বাঙালির মর্যাদাশীল জাতি হওয়ার স্বপ্ন। জেঁকে বসে পুঁজিবাদের শাসন। বাড়তে থাকে মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা। সমাজে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা পাঁয়তারা করে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু নির্বাসনের পরিকল্পনা। মনোজগত থেকে বঙ্গবন্ধুকে সরানোর নানান চেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। পাঠ্যপুস্তক, টিভির পর্দা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধুর যে ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ তা বাজাতে দেওয়া হতো না। শুধু তাই নয়। এমন এক সময় গেছে যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করাও যেতো না। তার হত্যার বিচার চাওয়ার সুযোগ ছিল না। খুনিদের বিচার থেকে রেহাই দিতে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। কিন্তু ইতিহাস থেকে তো কখনো বঙ্গবন্ধুকে সরানো সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা সচল হয়। দেরিতে হলেও বিচার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পলাতক খুনিদের দেশে এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করা সরকারের কর্তব্য।
বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করা। বঙ্গবন্ধু যে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বারবার বলেছেন, সেই মুক্তি অর্জনের পথে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ আর শুধু সংগীতে নয়, বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেশ ডিজিটাল হয়েছে। মহাকাশে উড়ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। উন্নত সমৃদ্ধির পথে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করায় বিশ্ব দরবারে এখন অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই অবাক করা উত্তরণের কারণ একটিই। এই বাংলার মাটিতে জন্মেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যিনি এ দেশের উন্নয়নে, সফলতা ও সংগ্রামে, ঘরে ঘরে, প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির ভাস্বর, চির অম্লান রয়েছেন এবং থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে পড়ুক দেশ থেকে দেশান্তরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। শোকাবহ এই দিনে মহান নেতার প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। তার আত্মা চির শান্তিতে থাকুক।

লেখক : বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জোন ৩.২ এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম ।

ফেইসবুকে নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মন্তব্য লিখুন


Archive

© All rights reserved © 2021 Dainiksomor.net
Design & Developed BY N Host BD