মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

নোটিশ :
✆ন্যাশনাল কল সেন্টার:৩৩৩| স্বাস্থ্য বাতায়ন:১৬২৬৩|আইইডিসিআর:১০৬৬৫|বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন:০৯৬১১৬৭৭৭৭৭
সংবাদ শিরোনাম
ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর জন্মদিনে দৈনিক সমর পত্রিকার শুভেচ্ছা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই: জেলা পিপি “শেখ হাসিনা দেশের গণমানুষের আশা-জাগানিয়া বাতিঘর ও অভিভাবক”-এম এ মোতালেব সিআইপি দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা : বিলুপ্ত সংগঠনটি ছিল ব্যবসায়ী সংগঠন শুভ জন্মদিন : শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়ন এবং অর্জনের রোল মডেল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চার লেনে আদৌ উন্নীত হবে কি? বিশ্বতানে উপদেষ্টা বরণ ও ঘরোয়া বৈঠকীতে গজল সন্ধ্যা আগামী নির্বাচনে দলকে জয়ী করতে দক্ষিণ জেলা আ’লীগ প্রস্তুত রয়েছে আধুনিক বোয়ালখালী গড়ার সম্মিলিত প্রয়াসে বোয়ালখালী ফোরাম চট্টগ্রাম (আংশিক) কমিটি গঠন ইন্টার ইউনিভার্সিটি দলগত দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

শাহপরীর দ্বীপ থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ৬১ কিঃমি বেড়িবাঁধ সড়ক

বিজন কুমার বিশ্বাস, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

শাহপরীর দ্বীপ থেকে নাক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম পর্যন্ত ৫১.৭৩ কিঃমি সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩০ জুনে শেষ হয় এই বাঁধের কাজ। মূল বেড়িবাঁধের আয়তন ৬১.৭৩ কিঃমি। পালংখালী খাল ও কুতুপালং খালের উপর বাকি ১০ কিলোমিটারের কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। টেন্ডার হয়ে গেলে ৬১.৭৪ কিলোমিটার সড়কটি হবে দৃশ্যমান। তারপর শুরু হবে মূল সড়কের কাজ। সবমিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ শত ৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সময়সীমা নির্ধারণ ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাঁধটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে মানুষের চলাচলের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। তাদের যাতায়াত আরও সহজ হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা সবকাজ সারতে পারবে। এছাড়া বর্ষার আগে বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় সাগরের জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেয়েছেন শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা। এই দ্বীপের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছে পানির সাথে। একটি বেড়িবাঁধের যেন পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। এই বাঁধের উপরে হবে মূল সড়ক। মেয়াদকালের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে ঘুমধুম, উখিয়া, টেকনাফ, শাহ পরীর দ্বীপের মানুষের সাথে যোগাযোগের একটি সহজ মাধ্যম হয়ে উঠবে, এমনটাই বলছে সংশ্লিষ্টরা।
কাজের ২২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পালংখালী ও কুতুপালং খালের উপরে ১০ কিলোমিটার কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে বলে জানান, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ। তিনি দৈনিক সমরকে বলেন, শুধু সড়কে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ কোটি টাকা। সড়কটি হবে এইসবিবি। তাছাড়া ৬ টি বক্স কালভার্ট থাকবে। আগামী ২০২৫ সালে জুন পর্যন্ত সময়সীমা ধরা হয়েছে।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড’র তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ ৬১.৭৩ কিলোমিটার সড়কে থাকবে ৩৩ টি স্লুইস গেইট। ২৫ কিলোমিটার খালের উপর ২ টি ব্রীজ থাকবে। কালভার্ট ১টি। এরইমধ্যে ১৮ হেক্টর জায়গা ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ২০২৫ সালে জুনে কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ শত ৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন আরিফ দৈনিক সমরকে জানান, শাহপরীর দ্বীপ থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ৬৭.৭৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের উপরে নির্মিত হবে ৫১.৭৩ কিলোমিটারের সড়ক। মাঝখানে কিছু অংশের কাজ বাকি আছে। এটার জন্য আলাদা টেন্ডার আহবান করা হবে।
বিজিবি কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ আজিজুর রউফ বলেন, সীমান্ত পাহারায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি তা হলো যোগাযোগ। একটা সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া অপরাধ নির্মূলেও অনেক সহজ হবে।
জানা যায়, মাদক প্রতিরোধ, মানব পাচার, চিংড়ি শিল্প, আমদানি রপ্তানিতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে এই সড়ক। সড়ক প্রশস্তের পাশাপাশি সড়কের দু’পাশে লাইটিং করা হবে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন জানান, বাঁধটি না থাকলে গ্রামসহ কয়েক হাজার পরিবার পানিতে ভেসে যেতো। কৃষি কাজে নিয়োজিত কয়েক হাজার কৃষকের স্বপ্ন পানিতে ভেসে যেতো। তিনি বলেন, বাধঁটি সড়কে পরিনত হলে, যোগাযোগের একটি মাধ্যম হবে। মাদক পাচার, চোরা কারবারিসহ নানা ধরনের অপরাধ কমে যাবে। শিল্প অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এছাড়া মানুষের যোগাযোগ সহজতম হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন


Archive

© All rights reserved © 2021 Dainiksomor.net
Design & Developed BY N Host BD