বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন

নোটিশ :
✆ন্যাশনাল কল সেন্টার:৩৩৩| স্বাস্থ্য বাতায়ন:১৬২৬৩|আইইডিসিআর:১০৬৬৫|বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন:০৯৬১১৬৭৭৭৭৭
সংবাদ শিরোনাম
মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গ গাজার মুসলিমদের আর কতভাবে নির্যাতন করলে বিশ্ববিবেক জাগ্রত হবে! শেখ মুজিবুর রহমান- শুধু কোনো ব্যক্তির নাম নয়, তিনি স্বয়ং একটি প্রতিষ্ঠান পরৈকোড়া ইউনিয়ন সমিতি এখনও বলবৎ, একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : সুজিত কুমার দাশ চাঁন্দগাও হামিদ চরে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ১,আহত ১০ আনোয়ারায় কৈলাশ তীর্থ ধামে ৪দিন ব্যাপী গ্রামীণ মেলা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানাম সংকীর্তন সহ শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে অনন্য অবস্থানে সৈয়দপুর নুর কাশেম একাডেমি:প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা আনোয়ারাকে সমৃদ্ধ উপজেলায় পরিণত করবো:অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা চট্টগ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণে অসুস্থ প্রেমিকার মৃত্যু প্রেমিকসহ গ্রেফতার ২ : উপযুক্ত শাস্তি দাবী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ : জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পরার দিক-নির্দেশনা

ভুয়া জন্মদিন : জাতির পিতার মৃত্যুদিনে তিনি কেক কাটেন কীভাবে?

ফেইসবুকে নিউজটি শেয়ার করুন...

এস এম ইরফান নাবিল:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এক সংগ্রামের ইতিহাস। অনেক আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতালোভী একশ্রেণির কাঙ্ক্ষিত স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় মুহূর্তেই চেহারা পাল্টে বিশ্বাসঘাতকতার চূড়ান্ত পর্যায়ে আরোহণ করতে তাদের কালক্ষেপণ হয়নি। অর্থাৎ স্বাধীনতার বছর চার শেষ না হতেই সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নির্মম ইতিহাস লেখা হয় বাংলাদেশে।
ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনেকের বিচার হয়েছে। তবে ঘটনার নেপথ্যে থাকা ভয়ংকর এক ঠান্ডা মাথার খুনি লম্বা সময় ধরে আড়ালেই ছিলো। তার সম্পৃক্ততা সময়ের সাথে সাথে স্পষ্ট হয়েছে। কালো চশমার এই খুনি ভিনদেশী কেউ নন । নতুন নতুন তথ্যেও উঠে এসেছে। আজকে বিভিন্ন উৎস থেকে নতুন তথ্য উদঘাটিত হচ্ছে। ১৯৭৬ সালের ২ আগস্ট যুক্তরাজ্যের আইটিভিতে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানের একটি সাক্ষাৎকারে মেজর ফারুক বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। কর্নেল ফারুকের স্বাক্ষরে সানডে টাইমস পত্রিকায় একাধিক নিবন্ধেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার কথা উঠে আসে। এছাড়া মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিপ্সু তার একটি বইতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়া সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরা হয়। জিয়াউর রহমানকে সাইকোটার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর হত্যায় ক্ষমতার পালাবদল ও পট পরিবর্তন উভয়ই ঘটেছে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। তবে নিয়তি আড়ালে মুচকি হেসেছে এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকেও পৃথিবী ত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু না, ক্ষমতা দখলই শেষ কথা নয়, শত্রুরা জানতো, ইতিহাস খুব ভয়ঙ্কর। একে নিজ গতিতে চলতে দেওয়া যায় না। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টার অংশ জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া বিএনপির কর্ণধার হিসেবে রাতারাতি ক্ষমতায় আসীন হওয়া তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুরু করেন নতুন নতুন নাটক। আর এই নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ভুয়া জন্মদিন পালন’।
জন্মদিন মানুষের কাছে বিশেষ একটি দিন। কারণ এই দিনে সে পৃথিবীতে এসেছে। দিনটি উদযাপন করতে মানুষ কতো কিছুই না করে! কিন্তু সেই দিনটি উদযাপনে যখন মিশে থাকে মিথ্যা, প্রতিহিংসা এবং সেটি আঘাত করে মানুষের আবেগের জায়গায় তখন সেটি নিন্দনীয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার জন্মদিন দলের নেতাকর্মীরা পালন করবেন সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু তার সত্যিকারের জন্মদিন আসলে কোনটি তা এক গোলক ধাঁধা। একেক সময় একেক তারিখ সামনে আসায় বিষয়টি সাধারণের মনে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
জন্মদিন পালন নিয়ে তার নাটকের উদ্দেশ্য মূলত সাধারণ জনগণ; বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত তরুণদের মধ্যে এই দিন সম্পর্কে, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ভুল মেসেজ দেওয়া। যে দিনটি বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিলো, সে সম্পর্কে যেন তরুণ প্রজন্ম কিছু জানতে না পারে এ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। ১৫ আগস্ট উদযাপন করা দিনটি খালেদা জিয়ার আসল জন্মদিন নয়। ফলে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্ধকারতম দিনে জন্মদিন পালন করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কি বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি তা সহজেই অনুমেয়।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি তারিখ পাওয়া গেছে যা শেষপর্যন্ত হাইকোর্টে গড়িয়েছে। তার এসএসসির নম্বরপত্রে জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। বিবাহ নিবন্ধনে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৯ অগাস্ট ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেওয়া তার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ৫ অগাস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ৮ মে ১৯৪৬। আর তিনি জন্মদিন পালন করেন ১৫ অগাস্ট, জাতীয় শোক দিবসে। এই উদযাপনে মিশে থাকে প্রতিহিংসা, মিথ্যা ও ইতিহাস বিকৃতি।
দেশের প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালের ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন শুরু করেন তবে তখনও তাতে অতিমাত্রায় আড়ম্বর পরিলক্ষিত হয়নি। জন্মদিন কেক কেটে উদযাপন শুরু হয় ১৯৯৬ সাল থেকে। মিন্টু রোডে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সাথে বেশ ঘটা করে ঐ বছরের ১৫ আগস্ট তার জন্মদিন পালন ভিন্ন মাত্রা পায়। এ ঘটনায় কিছু প্রশ্ন রয়ে যায়। প্রথমত, ১৯৯১ সালের আগে তিনি কি নিজের জন্মদিন কখনও পালন করেননি? দ্বিতীয়ত, করে থাকলে দিনটি কবে এবং তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে এলো না কেন? তৃতীয়ত, নাকি ক্ষমতায় আরোহণের পর থেকে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষের উগ্রতার প্রকাশ ঘটাতেই খালেদা জিয়াসহ তার নেতাকর্মীদের এই আয়োজন? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে সামনে আসে, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার দিন, অর্থাৎ ১৫ অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়। সুতরাং জাতীয় শোক দিবসের আবহকে ব্যাহত করতে একই দিনে ঘটা করে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের একটি যোগসূত্র এখানে পাওয়া যায়।

আগস্ট ট্রাজেডি হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। এর পূর্বে প্রতি বছর ১৫ আগস্টে এবং তারপর এই ৪৬ বছরের প্রতিটি ১৫ আগস্টে এমনকি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টেও অসংখ্য মানুষের জন্ম হয়েছে। তার মানে বাংলাদেশে লাখো মানুষের জন্মদিন ১৫ আগস্ট। সুতরাং অন্য ৩৬৪ দিনে যাদের জন্ম, তারা যদি জন্মদিন পালন করতে পারেন, ১৫ আগস্টে জন্মগ্রহণকারীরা কেন জন্মদিন পালন করতে পারবেন না? এই প্রশ্ন খুবই যৌক্তিক এবং সঙ্গত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যেদিন আপনার পিতা মৃত্যুবরণ করেছেন, সেদিন যদি আপনার জন্মদিন হয়ও, আপনি কি সেদিন জন্মদিনের কেক কাটবেন?
জন্মদিন পালনের বিষয়টি অনেকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে নিতে পারেন সেক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দলের প্রধান নেত্রী। জাতির পিতার মৃত্যুদিনে তিনি কেক কাটেন কীভাবে? তার এমন কাজের একটাই উদ্দেশ্য, সেটি হলো বাংলার মানুষের আবেগের জায়গায় আঘাত দেওয়া। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিন নিয়ে উপহাস করা!
এই দিনে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষের জন্ম হয়েছে। কিন্তু চেনাজানা অনেককেই দেখেছি যারা শোক দিবসের সম্মান জানিয়ে নিজের জন্মদিন পালনের দৃষ্টিকটু আয়োজন থেকে বিরত থাকেন। সেখানে জাতির পিতা এবং জাতীয় চার নেতার রক্তে রঞ্জিত জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বিএনপি নেত্রীর ১৫ আগস্টে আনন্দঘন উদযাপন কি নিছকই জন্মদিন পালন? জাতি এবং তরুণ প্রজন্মকে তারা যে বার্তা এর মাধ্যমে দিতে চান তা কি যথেষ্ট উদ্বেগের নয়? নিশ্চয় উদ্বেগের। কেননা, বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার ঘটনা এতটাই নির্মম যে বিবেকবান মানুষ মাত্রই তাতে শিউরে উঠবেন ও শোকাভিভূত হবেন।
বেগম জিয়া শুধু বিএনপি নেত্রী হিসেবেই নন, বেগম খালেদা জিয়ার অন্য একটি পরিচয়ও আছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যাসম। বঙ্গবন্ধু বিশাল হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন, তেমনি ছিলেন তার সহধর্মীনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। মুক্তিযুদ্ধের সময়টায় খালেদা জিয়া যখন ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন, তখন জিয়াউর রহমান কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠিয়েছিলেন তাকে সেখান থেকে বের করে আনার জন্য। জিয়াউর রহমান চিঠি পাঠানো স্বত্বেও বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। খালেদা জিয়া যুদ্ধের সময় নিরাপদে ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি জেনারেলদের সান্নিধ্যে ছিলেন। উনি আরাম আয়েশ ত্যাগ করে আসতে রাজি হননি। তিনি স্বেচ্ছায় সেখানে থেকে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান বেগম জিয়াকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু দম্পতিই। জিয়াউর রহমান খালেদাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পিতৃস্নেহে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেন খালেদাকে। পরে জিয়াউর রহমানের জন্য সেনাবাহিনীতে আলাদা পজিশন ক্রিয়েট করা হয় যার বদৌলতে তিনি প্রমোশন পান এবং শেখ মুজিব নিজের মেয়ে হিসেবে খালেদাকে জিয়াউর রহমানের হাতে তুলে দেন। এর বদৌলতে টিকে যায় বেগম খালেদা জিয়ার সংসার। তখন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্য জীবিত। ছোট্ট রাসেল এবং অন্যান্যদের খুব কাছ থেকেই বেগম জিয়া দেখেছেন। রাজনৈতিক মিথ্যাচার এবং ইতিহাস বিকৃতির বিষয়টি বাদে ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতাবোধের জায়গা থেকেও পিতৃসমতুল্য যিনি নৃশংসভাবে সপরিবারের তার নিহত হবার দিনে, জন্মদিনের কেট কাটতেও একবারও তার হৃদয় কেঁদে ওঠেনি! এই যে প্রতারণা এ শুধু আত্মপ্রতারণাই নয়, চরম অকৃতজ্ঞতার উদাহরণও বটে। যা একইসাথে প্রতারিত করছে জাতিকে।
পরিশেষে বলতে চাই, বিয়ে, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভিন্ন ভিন্ন তথ্যে বেগম জিয়ার পাঁচটি ভিন্ন জন্মতারিখের সন্ধান পাওয়া যায়। ফলে তথ্যগত যায়গায় ১৫ আগস্ট যে তার প্রকৃত জন্মদিন নয় এটি প্রমাণিত সত্য। জাতির পিতার সপরিবারের হত্যার ইতিহাসকে মুছে দিতে চাওয়া, কটাক্ষ করা এবং মানুষের মনে ধাঁধাঁর জন্মদিনে প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবসে ঘটা করে জন্মদিন পালনের আয়োজন করা হয় তা বুঝতে বেগ পেতে হয় না।
বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আমাদের প্রাপ্তি স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যারা এমন ধ্রুবসত্যকে অস্বীকার করেন তাদের অপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয়। শুধু তাই নয়, মিথ্যাচার করে নিজ দলের অনুসারী তর“ণ প্রজন্মকেও খালেদা জিয়া বিভ্রান্ত করেছেন, ভুল পথে চালিত করেছেন। এ দায় তিনি কখনও এড়িয়ে যেতে পারেন না। তার দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যারা ইতিহাসের সাক্ষী তারাও এ দায় এড়াতে পারেন না।
এদেশের আপামর জনগনের বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। একজন প্রধানমন্ত্রীর বা একটি অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসাবে বানোয়াট একটি জন্ম তারিখ লিখতে কি বিবেকে বাধে নি? আপনি এমন একটি তারিখ বেছে নিলেন যেদিন ইতিহাসের নারকীয় হত্যাকান্ড ঘটে, যেদিন দেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির জনককে হত্যা করা হয়। ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে অত্যন্ত নৃশংসভাবে নিহত হবার দিনে জন্মদিন পালনের নেপথ্যে যে এজেন্ডা নিয়ে বেগম জিয়া এবং তার দলীয় নীতিনির্ধারকগণ নেমেছিলেন, তা কিন্তু বুমেরাং হয়েই তাদের কাছে ফিরে যাচ্ছে। শোকের দিন ভুয়া জন্মদিনের এই আয়োজন শোকাবহ বাঙালির হৃদয়ে কিন্তু রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। সুতরাং ভুয়া জন্মদিনের এই নাটক বন্ধ করেন এখনই। তা না হলে এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন, ভবিষ্যতে অস্তিত্বও হারাতে পারেন।

ফেইসবুকে নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মন্তব্য লিখুন


Archive

© All rights reserved © 2021 Dainiksomor.net
Design & Developed BY N Host BD