মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
ইরফান নাবিল:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। গৌরব, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ৭৪তম বছরে পদার্পণ করলো সংগঠনটি। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগঠনটি। তার নেতৃত্বেই ঐ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জানিয়েছেন। সংগঠনটির ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত
কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব
সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২র ভাষা আন্দোলন, ৫৪র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬র ৬ দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।
আপনার মন্তব্য লিখুন