মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে তৈরি হল দেশের একমাত্র একক নদীটির নির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ। সুরক্ষা পাবে প্রাকৃতিক এ সম্পদ। গত মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করে।
বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করায় ‘তদারকি কমিটির অনুমতি ব্যতিরেকে হালদা নদীতে নতুন পানি শোধনাগার, সেচ প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন না করা’সহ নদীকে সুরক্ষায় ১২টি শর্ত দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ির রামগড় ও মানিকছড়ির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ৯৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হালদা নদীর তীরের ২৩ হাজার ২২ একর জমিসহ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারী ও পাঁচলাইশ বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজের অধীনে আছে। এ নদীতে এখন সব ধরণের বজর্য ফেলা সম্পূণর্রূপে নিষিদ্ধ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, হালদা নদীতে রুই মাছ জেনেটিক্যালি বিশুদ্ধ। তাই এপ্রিল-জুন মাসে প্রজনন মৌসুমে রুইয়ের পর্যাপ্ত নিষিক্ত ডিম নদীতে পাওয়া যায়। হালদা নদী হলো সারা বিশ্বে স্বাদু পানির মাছের জন্যও একমাত্র স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র। এ ছাড়াও হালদা নদী বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের বাসস্থান। তবে দূষণ ও বাঁধের কারণে হালদা হারিয়েছে তার নিজস্ব চরিত্র।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে রুই জাতীয় মাছের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও গাঙ্গেয় ডলফিনের আবাসস্থল সংরক্ষণের লক্ষ্যে হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। অতীতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা হালদা নদী রক্ষায় দায়িত্ব পালন করলেও একটি নির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেশের একমাত্র একক নদীটি সুরক্ষা পাবে। এটি একটি প্রসংশনীয় সিদ্ধান্ত।’
আপনার মন্তব্য লিখুন