সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশব্যাপী শোক কর্মসূচি চলাকালেই গত ১৬ আগস্ট কমিটির অনুমোদনে স্বাক্ষর করেন ক্লাবের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।
শোকের মাস আগস্ট। আগস্ট জুড়েই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শোক কর্মসূচি পালন করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশের কোন পর্যায়ে আওয়ামী লীগ কিংবা সহযোগী কোন সংগঠন কিংবা আওয়ামীলীগ বা বঙ্গবন্ধু ট্যাগধারী কোন সংগঠনের কমিটি গঠন কিংবা অন্যান্য সাংগঠনিক তৎপরতা চালানোর নজির নেই। কিন্তু ১৫ আগস্টের একদিন পরেই কমিটি ঘোষণা দিয়ে নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিল বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ও ক্লাব । এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
এ নিয়ে ক্লাবের কয়েকজন উপদেষ্টা ও সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,এ কমিটি সম্পর্কে তারা অবগত নন।এমনকি আগস্ট মাসে কমিটি করায় তারাও বিস্মিত।তারা বলেন,এ কমিটি পূর্ব পরিকল্পিত। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
এ ব্যাপারে কমিটির উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, যে মহামানবের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতনা। যার ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষেরা নিজের জীবনকে বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। সেই মহানায়ককে যেই আগষ্ট মাসে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছে সেই মাসেই কমিটি প্রদান করে প্রমান করল তারা মুজিব আদর্শকে ধারণ করতে জানেনা।তারা কোন মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধন করার জন্য এ কমিটি দিয়ে থাকতে পারে।কারণ,প্রকৃত আওয়ামীলীগ কখনোই শোকের মাসে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠতে পারেনা।
সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,এটি শোকের মাসে বিতর্কিত কমিটি।ক্ষমতাবলে একজন বিশিষ্ট কমিটি দিয়ে তারা বুঝাতে চেয়েছে শোকের মাস বিজয় উল্লাসের মাস।
উল্লেখ্য,গত ২৮/০৫/২০২১ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল।এরপর কোন আলোচনা ছাড়াই বিস্ময়করভাবে সভাপতি পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদককে সভাপতি করে মাত্র একজন দিয়ে কমিটি অনুমোদন করে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।এ ব্যাপারে তারা বলেন,সিনিয়ররা যেভাবে উপদেশ দিয়েছেন তারা সেভাবেই কমিটি অনুমোদন দেন।
উল্লেখ্য, উক্ত ক্লাব পাঠাগার হলেও সার্বিক পরিস্থিতিতে তার প্রমাণ মিলেনা।
আপনার মন্তব্য লিখুন