সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১১:২০ অপরাহ্ন
শহীদুল্লাহ কাইসার টিপু, ঢাকা:
পৃথিবীতে মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে, মানবতাও থাকবে ততদিন। যেদিন মানবতা সম্পূর্ণ উঠে যাবে, পৃথিবী নামক গ্রহটি বেঁচে থেকে লাভ কি? ধ্বংস হোক। সভ্যতার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, যুগে যুগে কত মহামারী দেখা দিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ লোক মারা গিয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে কত নগর সভ্যতা। তারপরও মানুষ ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। চীনে সৃষ্ট করোনা ভাইরাস শুধু চীন নয়, ভীষন একটা নাড়া দিয়েছে সমগ্র বিশ্ব বিবেক কে। এই মহামারী আজ একটি দেশে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়ছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। চীন,ইতালি, অষ্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স,ইরান,ব্রিটেন……..অবশেষে বাংলাদেশ।। চীন তার সর্বোচ্চ সতর্কতা দিয়ে, উন্নত টেকনোলজী ব্যবহার করে মহামারীকে জয় করেছে। আমি যেহেতু ব্যবসায়ীক ভাবে চীনের সাথে সম্পৃক্ত এবং ভ্রমন করেছি অনেকবার, তাই তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেকটা অবহিত। তারা অনেক কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করেছে এবং করছে। তারা বলেছে এই মহামারী প্রতিরোধে সরকার যতটুকু না কাজ করেছে, জনগন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কাজ করেছে তার দ্বিগুণ। আমাদের দেশেও করোনা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তারা বলেছে আমাদের এ বিপদে তাদের দেশ সবসময় পাশে থাকবে। এটা ভাল একটা দিক। আমরা,আশাবাদী হয়েছি। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। কিন্তু শিখিনা। শুধুই বিতর্ক করি। একটা নিজস্ব স্বার্থে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ি। এই পরিস্থিতিতে আমরা কতটুকু সচেতন। ছোট্ট একটি দেশ, বিশাল লোক সংখ্যা। যত দ্রুত পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায় ততই দেশ এবং জাতির জন্য মংগল। ক্ষুদ্র স্বাথের্র জন্য বৃহত স্বার্থ ত্যাগ করার সময় নয় আজ। মানবতা আজ বিপন্ন। আজ দেখিনা কোথাও সেই নেতা, সেই মানবতার কবি…..
সিরিয়ায় বিমান হামলায় বিধ্বস্ত বাড়ীর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি শিশু তার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের আগ মুহূর্তে বলেছিল,
“আমি আল্লাহকে সব কিছু বলে দিবো।” চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। মাঝে মাঝে মনে হয়,তবে কি বিধাতা সেই অবুঝ ছোট্ট শিশুটির কথা শুনতে পেয়েছিলো!……..দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
আপনার মন্তব্য লিখুন