মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২৬ অপরাহ্ন

নোটিশ :
✆ন্যাশনাল কল সেন্টার:৩৩৩| স্বাস্থ্য বাতায়ন:১৬২৬৩|আইইডিসিআর:১০৬৬৫|বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন:০৯৬১১৬৭৭৭৭৭
সংবাদ শিরোনাম
শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরতে হবে:খোরশেদ খন্দকার বোয়ালখালীর চরণদ্বীপে আওয়ামী লীগ পরিবারের উদ্যোগে বিজয় মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত আধুনিক কালুরঘাট সেতু নির্মাণে সচেষ্ট থাকব:আবদুচ সালাম বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে হরতাল বিরোধী মিছিল অন্য প্রার্থী মানিনা : মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী পটিয়ার কান্ডারী আনোয়ারায় জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন ভূমিমন্ত্রী জাবেদ এমপি আল ফালাহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)ও ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা সিজেকেএস নির্বাচনে হাড্ডাহড্ডি লড়াই: অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদ সৈয়দ সাহাব উদ্দিন শামীম এর জয় লাভ সিজেকেএস নির্বাচন : দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কজে লাগিয়ে ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজাবো : সৈয়দ সাহাব উদ্দিন শামীম

বাবুনগরী-মামুনুলদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা : তদন্তের নির্দেশ

ফেইসবুকে নিউজটি শেয়ার করুন...

কোর্ট রিপোর্টার:
জাতির জনকের ভাস্কযের্র বিরোধিতা করে বক্তব্য দেয়ায় ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে করা দুটি মামলা আমলে নিয়েছেন আদালত। মামলা দুটি আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত এ আদেশ দেন।
এর মধ্যে একটি মামলার আর্জিতে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সোমবার সকালে ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে প্রথম মামলাটি করেন।
একই আদালতে দ্বিতীয় আবেদনটি করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক।
আমিনুলের মামলার আর্জিতে দন্ডবিধির ১২০ (খ) (১)/১২৪ (ক)/ ৫০৫ (ক) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ইসলামকে ‘ঢাল হিসেবে ব্যবহার’ করে আসামিরা ধমের্র ‘আজগুবি’ ব্যাখ্যা দিয়ে ‘বিদ্বেষপূর্ণ, কাল্পনিক, উত্তেজনাকর ও উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা বাঙালি মুসলমান সমাজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান সম্পর্কে ‘বিদ্বেষ সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন।
মশিউর মালেকের অপর মামলার আর্জিতে দন্ডবিধির ১২০ (খ)/১৫৩/১২৪ (ক)/ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, মামুনুল হক ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ‘ভেঙে ফেলার হুমকি দেন’, যা দেশ ও সরকারের স্থিতিশীলতাকে ‘হুমকির মুখে’ ফেলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠে ‘তৌহিদি জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়। এতে বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা ফয়জুল করীম।
একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।
এর পর গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মাহফিলে অংশ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দেন, যে কোনো দল ভাস্কর্য বসালে তা ‘টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়া’ হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে ইসলামভিত্তিক দলগুলো আন্দোলন করছে। ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের বক্তব্য ঘিরে আন্দোলন আরও গতি পায়। এই আন্দোলনের মধ্যে শুক্রবার রাতের আঁধারে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার দুই মাদ্রাসাছাত্র পুলিশকে জানিয়েছেন, মাওলানা মামুনুল হক ও ফয়জুল করীমের বয়ান শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভাস্কর্যবিরোধীদের রুখে দেয়ার হুশিয়ারি দিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিমকোটের্র আইনজীবী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মো. জিশান মাহমুদ রোববার জুনাইদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকের বির“দ্ধে আরেকটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, ১৩ নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সরকারকে হুশিয়ার করে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে তিনি আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটাবেন এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলবেন। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনাইদ বাবুনগরী ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মাহফিলে বলেন, কোনো ভাস্কর্য তৈরি হলে তা টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে। তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে আসছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের রেশ ধরে তাদের অনুসারীরা গত ৪ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন ভাস্কযের্র ডান হাত ও পুরো মুখমন্ডল এবং হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলে।

 

ফেইসবুকে নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মন্তব্য লিখুন


Archive

© All rights reserved © 2021 Dainiksomor.net
Design & Developed BY N Host BD