শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
সমর প্রতিবেদক :
আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এই বাজেট পেশ করেন।
বাজেটে নিম্নোক্ত পণ্যের দাম বাড়ানো ও কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
দাম বাড়বে : আমদানিকৃত মোবাইল ফোন, মাশরুম, আমদানিকৃত মাংস, মিষ্টিজাত কনফেকশনারি, গাড়ির সুরক্ষা কাঁচ, বার ও রড, ৭৫০ ওয়াটের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর, খনিজ তেল, সাবান, কার্নিভাল/এন্টারটেইনমেন্ট আর্টিকেলস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট, আমদানিকৃত লোহার তার ও রাইস ব্র্যান অয়েল ইত্যাদি।
দাম কমবে : স্টেইনলেস স্টিল, পোল্ট্রি খাবারের উপকরণ, মেডিকেল ডিভাইস তৈরির উপকরণ, ক্যান্সারনিরোধী ওষুধ তৈরির উপকরণ, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রিন্ডার, বৈদ্যুতিক কেতলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ওষুধ তৈরির উপকরণ, স্থানীয়ভাবে তৈরি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নোটবুক, নোটপ্যাড, ট্যাব, মাউস, মাদারবোর্ড, পাওয়ার ব্যাংক, রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ, নেটওয়ার্ক ডিভাইস/হাব, স্পিকার, সাউন্ড সিস্টেম, ইয়ার ফোন, হেডফোন, পেনড্রাইভ, মাউক্রো এসডি কার্ড, ফ্ল্যাশ মেমরি কার্ড, সিসিটিভি, মনিটর, প্রজেক্টর, ইউএসবি ক্যাবল, ডেটা ক্যাবল, পাওয়ার টিলার, কম্বাইন্ড হারভেস্টর, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিন, সতেজ ফল, রাইস ব্র্যান ওয়েল, পেপার কাপ, এলইডি লাইট, মাইক্রোবাস, হাইব্রিড ভেহিক্যালস, ও টাইলস তৈরির কাঁচামাল ইত্যাদি।
দাম বেড়ে গেল সিগারেটের : প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে ধূমপায়ীদের এখন থেকেই সিগারেট কিনতে বেশি খরচ করতে হবে। অর্থমন্ত্রী বক্তৃতায় বলেছেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৯ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধাযের্র প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১০২ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতি উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৩৫ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং এই তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।’
তবে স্থানীয় বিড়িশিল্পের ওপর বাড়তি চাপ দেননি অর্থমন্ত্রী। বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৯ টাকা ও ৮ শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৪০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ২০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।’
গ্রামে বাড়ি করতে গেলেও কর দিতে হবে : বাড়ির নকশা অনুমোদন করতে এখন থেকে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শহরে বা গ্রামে যেখানেই আপনি বাড়ি করতে যান আপনার টিআইএন নিতে হবে। এতে বাড়ির মালিক করজালের আওতায় আসবে। এছাড়া যে কোনো সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২১-২২ অর্থ-বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিধান আরোপ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, করজাল সম্প্রসারণে বাড়ির নকশা অনুমোদন ও সমবায় সমিতির নিবন্ধনে টিআইএন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন