মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০১ অপরাহ্ন
সুজিত কুমার দাশ:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আটচল্লিশতম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিচার বিভাগ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
দিনের শুরুতে শোকদিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এরপর চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমদ ভূঞার নেতৃত্বে সকল বিচারক, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা, মহানগর পিপি ও জেলা জিপির অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও শোকসভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমদ ভূঞা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বিভিন্ন আঙ্গিক বিশ্লেষণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোকপাত করেন। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ মিন্টু বলেন, বঙ্গবন্ধু এমই একজন কীর্তিমান যাকে নিয়ে আলোচনা যত হবে ততই তার জীবনের নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হবে। মহানগর পিপি আব্দুর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনার রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক দল ও সরকার যেন তাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় মূল্যায়ন করেন এ ব্যাপারে তিনি আলোকপাত করেন।
বিজ্ঞ জেলা পিপি ও জিপি তাঁদের স্ব স্ব বক্তব্যে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী তাঁর স্বাগত বক্তব্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় অবস্থানের কথা বলেন। সরকারি কর্মচারীদের সৎ থাকার প্রতি বঙ্গবন্ধুর বাণী তাঁর বক্তব্যে ফুটিয়ে তোলেন।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলম বঙ্গবন্ধুর বিশালতা বর্ণনায় তার কারাগারে কাটানো জীবন ও সেসময়ে দেশ মাতৃকার জন্য তার সর্বোচ্চ ত্যাগকে আলোকিত করেন।
চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বঙ্গবন্ধুর “ভায়েরা আমার” ভাষণসমগ্র থেকে বিচারবিভাগের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি ও সৎভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বঙ্গবন্ধুর ভাবনার দিকটি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন।
আলোচনা সভার সভাপতি চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমদ ভূঞা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথে প্রতিটি আন্দোলন, সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ ভূমিকা স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, তিনিও জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারতেন না বলে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
আলোচনাসভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন আদালতের জামে মসজিদের পেশ ইমাম।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিচার বিভাগ চট্টগ্রামের উদ্যোগে এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন