সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
মনজুরুল আলম মনজু :
নগরীর জেএম সেন হলে দিনব্যাপী বিদ্যাদেবী সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭ টা থেকে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই আয়োজনে কেন্দ্রিয় পূজা কমিটিসহ মোট আটটি পূজা মন্ডপ পূজায় অংশগ্রহণ করে।
উক্ত পূজায় বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে পৃথিবীতে আসেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করছেন ভক্তরা।
দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ধ্যা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে অনুষ্ঠানমালায় টানা হয়েছে লাগাম। মন্ডপে ভিড় না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন আয়োজকরা। পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করে প্রতিমা দর্শনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। উক্ত পূজা মন্ডপে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায় ।
ভোরবেলা থেকেই মন্ডপে শুরু হয় পূজার তোড়জোড়। পৌনে আটটায় পঞ্চমী তিথিতে বিগ্রহের সামনের আসনে বসেন পুরোহিত।
ঢাকবাদ্য, শখধ্বনি আর মায়েদের উলুধ্বনিতে বরণ করে নেওয়া হয় মাতৃদেবীকে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নগরের বিভিন্ন মন্ডপে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও পারিবারিক মন্দিরে এভাবেই শুরু হয় বাগদেবী সরস্বতী পূজা।
এদিন পূজা শেষে নতুন বিদ্যার্থীদের হাতেখড়িও দেন পুরোহিত। কেউ শেটে, কেউবা খাতায় প্রথমবারের মতো লিখেছে অ আ ক খ। এরপর ভক্তদের দেওয়া হয় পুষ্পাঞ্জলি। পূজার্থীরা বিতরণ করেন প্রসাদ। ধূপের গন্ধে, মোমের আলোয় মন্ডপে সৃষ্টি হয় ধর্মীয় আমেজ। পূজায় বিশেষ উপাচার আবির, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম, যবের শিষ রেখে চলে আরাধনা। বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল নিবেদন করা হয় দেবীর চরণে।
বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে পৃথিবীতে আসেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করছেন ভক্তরা।
দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ধ্যা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে অনুষ্ঠানমালায় টানা হয়েছে লাগাম। মন্ডপে ভিড় না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন আয়োজকরা
লোকাচার অনুসারে, ছাত্র-ছাত্রীরা পূজার আগে কুল (বড়ই) ভক্ষণ করে না। পরদিন সকালে চিড়া ও দই মেশানো দধিকর্মা নিবেদন করেন অনেকে। কোনও কোনও পরিবারে এদিন অরন্ধন পালন ও গোটা-সেদ্ধ খাওয়ার প্রথাও রয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন