শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
মনজুরুল আলম মনজু :
চট্টগ্রাম মহানগরীর সবচেয়ে দীর্ঘতম আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে দ্রুতগতির যানবাহনের কারণে একের এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
বিশেষ করে ফ্লাইওভারে ওঠার পর কিছু মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে থাকে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
গত ৬ মাসে এই ফ্লাইওভারে ছোটবড় অর্ধশত দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফ্লাইওভারে পুলিশি টহল জোরদার করার পাশাপাশি পুলিশ নিজ উদ্যোগে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালকদের গাড়ি থামিয়ে সচেতন করছে। তবুও বেপরোয়া চালকদের থামানো যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ১৬-০২৮৬ নাম্বারের একটি মোটরসাইকেল ফ্লাইওভারে ওঠে। এরপরই বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন চালক। এসময় মোটরসাইকেলটি দুই নম্বর গেট এলাকায় ধীর গতিতে চলতে থাকা একটি প্রাইভেট কারকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকল দুটোরই ক্ষয়ক্ষতি হয়। গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেলের চালক মোহাম্মদ আরাফত (২৩)।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আহত যুবককে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেপরোয়া চালকদের কারণে আখতার“জ্জামান ফ্লাইওভারে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। কর্তৃপক্ষ ফ্লাইওভারের বিভিন্ন স্থানে গতিরোধক দিয়ে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবু বেপরোয়া চালকরা তা মানছেন না।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়া বলেন, ‘পাঁচলাইশ থানার অংশে ফ্লাইওভারকে নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে আমরা নিয়মিত টহল এবং যানবাহন চালকদের সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এছাড়া ফ্লাইওভারে যে কোনো ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধেও পাঁচলাইশ থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক কঠোর অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করছে। এর মধ্যে কিছু চালকের বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।’
আপনার মন্তব্য লিখুন