বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
বশির আল মামুন:
মহামারী করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে চট্টগ্রাম নগরীর সড়কে গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু নগরীর ফাঁকা সড়কের সর্বত্রই এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা। গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন রিকশা চালকরা। তার কারণ হল, পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় ভাড়া বেশি হাঁকছেন তারা।
কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন আজ ২৬ জুলাই, সোমবার নগরীর বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ, মুরাদপুর, ২নম্বর গেইট, জিইসি, অক্সিজেন, নিউ মার্কেট, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, একে খান গেইট, চকবাজার, আন্দরকিল্লাহ এলাকা ঘুরে এবং যাত্রী ও রিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিকশাচালকরা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন দ্বিগুণ বা তারও বেশি ভাড়া আদায় করছেন। কর্মক্ষেত্রে যেতে যাত্রীরা রিকশাচালকদের বাগতি ভাগা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে রিকশা চালকরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন যাত্রী অনেক কম। আগে যে সময়ের মধ্যে ৮ থেকে ১০টি ভাড়া পাওয়া যেত, এখন সেখানে ৩ থেকে ৪টি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে একটু বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করা এই বিধিনিষেধে সরকারি-বেসরকারি অফিস, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সবকিছু বন্ধ থাকায় অন্যান্য বারের তুলনায় রাস্তয় মানুষের চলাচল তুলনামূলকভাবে কম। ফলে গাড়ির চলাচলও কম রয়েছে। কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও রাস্তায় সব থেকে বেশি চলছে রিকশা।
বারেক বিল্ডিং থেকে রিকশা যোগে নিউ মার্কেট আসা ফয়সাল বলেন, আমার একটি জরুরী কাজে রিয়াজুদ্দিন বাজার আসতে হয়েছে। রাস্তায় বাস চলছে না, তাই বাধ্য হয়ে রিকশায় এসেছি। যেখানে বাসে আমি ১০টাকায় আসতাম সেখানে রিকশায় ১৫০টাকা দিয়ে এখানে এসেছি। প্রতিদিন বারেক বিল্ডিং থেকে এখানে রিকশা ভাড়া নেয় ৮০টাকা থেকে ১০০ টাকা। সড়কে অন্য পরিবহন না থাকায় এখন আমাকে ৫০ টাকা বেশি দিয়ে এখানে আসতে হয়েছে।
রাহাত নামের এক ব্যাংকার বলেন, টাইগারপাস থেকে জিইসির মোড়ে আসতে আমার রিকশা ভাড়া নিয়েছে ৭০ টাকা। এর নিচে কেউ আসতে চায় না। এই পথ হেটে এলেও অফিস টাইমে পৌছা যাবে না। তাই বাড়তি ভাড়া দিয়েই আসতে হয়েছে।
সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক নুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুদিন ধরে রাস্তয় রিকশা চলাচল বেড়েছে। আজ যাত্রী একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যাত্রী অনেক কম। অফিস সময় (সকাল-বিকাল) কিছু যাত্রী পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময় দিনে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা ভাড়া হয়। গতকাল ৫০০ টাকা ভাড়া পেয়েছিলাম। আজও তেমন হবে বলে মনে হচ্ছে। অন্য সময়ের তুলনায় এখন রিকশা ভাড়া একটু বেশি। কারণ আমরা ভাড়া খুব কম পাচ্ছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন