সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
সমর প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে লায়ন্স আই ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরি হয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের পথ চলা শুরু হওয়ায় চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবে। এই সেশনে ১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যত্রক্রম শুরু হলেও সামনে এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন লায়ন্স ক্লাবস জেলা ৩১৫-বি ৪ জেলা গর্ভনর লায়ন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী পিএমজেএফ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর জাকির হোসেন রোডে চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের হালিমা-রোকেয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আগামী শনিবার চট্টগ্রাম তিনদিনব্যাপী লায়ন্স ক্লাবের সম্মেলন শুরু উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে কনভেনশন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাবস’র জেলা ৩১৫-বি ৪র জেলা গর্ভনর লায়ন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী পিএমজেএফ। এসময় প্রথম জেলা গর্ভনর এম ডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, দ্বিতীয় জেলা গর্ভনর কহিনুর কামাল, প্রাক্তন জেলা গর্ভনর মোস্তাক হোসাইনসহ লায়ন্স ক্লাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লায়ন শামসুদ্দিন সিদ্দিকী লিখিত বক্তব্যে বলেন, লায়ন্স ক্লাবের চলমান কার্যত্রক্রমের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। লায়ন্স আই ইনস্টিটিউটে এবার ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে মানব সেবামুলক কার্যত্রক্রমের আরেকটি কাজ শুরু করেছি আমরা। করোনাসহ নানা হৃদরোগ ও দুর্ঘটনায় ক্লাব
অবদান রেখে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে লায়ন্স করোনা সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। এছাড়া পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রত্যেক এলাকায় হেলথ ক্যাম্পের মাধ্যমে তৃৃণমুলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে লায়ন্স। কনভেনশন উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার বিকেলে নগরীর জিইসি কনভেনশন হল থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হবে। এছাড়া মাস জুড়ে প্রতিদিন লায়ন্স ৩১৫-বি৪ চট্টগ্রাম জেলার ৮৪টি ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবামুলক কর্মসুচি পালন করা হচ্ছে।
জেলা গভর্নর বলেন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৮ সালে লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং এর মাধ্যমে দেশে লায়নিজমের সুচনা হয়। তখন থেকে তারা আই ইনিস্টিউট প্রতিষ্ঠা, সিএলএফ কমপেক্স মাস্টারপ্ল্যান তৈরীর পরিকল্পনা প্রণয়ন, ওয়ান ক্লাব ওয়ান চাইল্ড প্রতিষ্ঠা, অন্ধত্ব নিবারন, ডি টি ই ক্যাম্প(ডায়াগনস্টিক ট্রিটমেন্ট এন্ড এডুকেশন) এর মাধ্যমে চক্ষু অপারেশন ও চিকিৎসার পাশাপাশি বিনামুল্যে ওষুধ পত্র বিতরণ করেন। গর্ভনর বলেন সারা বছর ব্যাপী উৎসবে পার্বনে মাদ্রাসা, এতিমখানা ও অনাথালয়ের দূঃস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরন করে আসছে লায়ন্স। তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের সেবা, তরুনদের জন্য লিও ক্লাব প্রোগ্রাম, শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে আাসছে লায়ন্স। এছাড়াও খৎনা ক্যাম্প পরিচালনা, নবীনদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন ক্লাব প্রতিষ্ঠা সহ প্রতিবন্ধী মানুষের পাশে থাকার জন্য সাদাছড়ি দিবস উদযাপন করা হয়। নিজ নিজ পেশায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে লায়ন্স সেবা পদক প্রদান করা হয়। তাছাড়া লায়ন্স স্কলারশিপ ট্রাস্ট, লায়ন্স ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। লায়ন্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সদস্যদের আয়ের একটি অংশ হত-দরিদ্রের মাঝে ব্যয় করা হয়। করোনা মহামারি সময় লায়ন্স করোনা সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে রোগীকে সেবা দেয়া হয়েছে। লায়ন্সের সবচেয়ে বড় সেবা প্রতিষ্ঠান হল লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল। এ হাসপাতালের মাধ্যমে গরীব রোগীরা সেবা পেয়ে থাকেন। রয়েছে ইনডোর সার্ভিস ও ভ্রাম্যমান প্রোগ্রাম, বৃক্ষ রোপণ ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম। রমজান মাসে সেবা কার্যক্রম। এ ছাড়া লায়ন্স জেনারেল হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লায়ন্স ব্লাড ব্যাংক, সাইক্লোন শেল্টার এন্ড এডুকেশন কমপ্লেক্স, ফিজিওথেরাপি ক্লিনিক, স্কুল, ইপিআই, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, নার্সিং হোম, সেলাই ও টাইপ রাইটিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বালিকা বিদ্যালয়, হাই স্কুল, সেবাশ্রম, বয়স্ক শিক্ষা, ফ্রী ফ্রাইডে ক্লিনিক, প্রাইমারি স্কুল, কলেজ ও একাডেমির মাধ্যমে লায়ন্স ক্লাব নানাবিধ সেবা প্রদান করে আসছে
আপনার মন্তব্য লিখুন