শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
সমর ডেস্ক:
‘সিএমপির ট্রাফিক সার্জেন্ট ছোটন তংচংগ্যা ও জেলফেরত আসামি স্যামসাং বাবুল সংঘবদ্ধ হয়ে প্রবাসীর দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ গেল বান্দরবান পুলিশ সুপারের কাছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সুফল পাননি প্রবাসী সুলাল কান্তি ঘোষ। আবার সার্জেন্ট ছোটনও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন।
বাবুলকে ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়ে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বান্দরবান জেলার বালাঘাটা বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জোর করে জায়গা দখলের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে জেলফেরত আসামি বাবুল বিশ্বাস ও সিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের সার্জেন্ট ছোটন তংচংগ্যা। গত ১৪ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ছোটন, বাবুল ও আরো ৫ থেকে ৬ জন বালাঘাটা এলাকার জামে মসজিদের পাশে প্রবাসী সুলাল কান্তি ঘোষের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এসময় তারা জায়গা পরিমাপ করেন।
এর আগে অভিযুক্তরা ২০১২ সালে অভিযোগকারীর ছেলে সুহাশীষ ঘোষকে খুন করে দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায়। এছাড়া ২০১৮ সালে জায়গার মামলায় আদালতের রায় বিপক্ষে যাওয়ায় দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলার কথাও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ওই সময় পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর ক্ষমা চাইলে সংশোধনের জন্য ক্ষমা করে দেন সুলাল কান্তি ঘোষ।
প্রবাসী সুলাল কান্তি ঘোষ বলেন, আমি প্রবাসে থাকার কারণে তারা আমার বাড়ি দখলের অপচেষ্টা করছে। এজন্য রাতের আঁধারে হানা দিচ্ছে। অথচ এ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলায় রায় আমার পক্ষে এসেছে। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে আছে। মামলা চলাকালীন অবস্ায় সার্জেন্ট ছোটন তংচংগ্যা ও জেলফেরত আসামি স্যামসাং বাবুল সংঘবদ্ধ হয়ে জবরদখলের চেষ্টা করছেন।
এদিকে অভিন্ন হয়রানির শিকার হয়েছেন বান্দরবানের প্রবীর শীল, বাসন্তী রানী শীল, মানিক দাস, আশিস দে, জয় দে ও কনিকা রানী ঘোষ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট ছোটন তংচংগ্যা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অফিসিয়ালভাবে জানাবো।’ এরপর তিনি আর কোনো কথা না বলে ফোনকল কেটে দেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে বান্দরবান পুলিশ সুপারকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
আপনার মন্তব্য লিখুন