মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
সমর প্রতিবেদক :
গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘কঠোর লকডাউনের’ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরও এক সপ্তাহ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু এবং শনাক্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়। ধীরে ধীরে এ বিধিনিষেধ শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরি রাখারও পরামর্শ দিয়েছে ওই কমিটি।
দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় প্রথম দফায় গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়, যে বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতা চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ‘সার্বাত্মক বিধিনিষেধ’ শুরু হয়। এটি শেষ হবে ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে।
এখন নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে লকডাউন।
এদিকে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ঈদের সময় ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের জন্য লকডাউন শিথিল হতে পারে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারা দেশে আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।
পরিবহনশ্রমিকসহ বেকার শ্রমিকদের সরকার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি সবাইকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। তিনি দলীয়ভাবে ভাসমান মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে সর্বস্তরের নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের এর আগে রংপুর সড়ক জোন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভাচর্যুয়ালি যুক্ত হন।এ সময় তিনি বলেন, সামনে ঈদ ও বর্ষাকাল। চলমান লকডাউনে সড়ক ফাঁকা থাকায় এখনই সড়ক মেরামত করার উপযুক্ত সময়।
আপনার মন্তব্য লিখুন