শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
✆ন্যাশনাল কল সেন্টার:৩৩৩| স্বাস্থ্য বাতায়ন:১৬২৬৩|আইইডিসিআর:১০৬৬৫|বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন:০৯৬১১৬৭৭৭৭৭

ই-পাসপোর্টে আগ্রহ বাড়ছে

ফেইসবুকে নিউজটি শেয়ার করুন...

এস এম ইরফান নাবিল :
এক দশক আগের ‘আধুনিক’ প্রযুক্তি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এখন পুরনো হয়ে পড়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর পাসপোটের্র যাবতীয় কার্যক্রম ই-পাসপোটের্র আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে। কমিয়ে আনা হচ্ছে এমআরপি’র কাজ। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু করে। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ৬৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে ৫২টিতে ই-পাসপোটর্র কাজ চলছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বাকি কার্যালয়গুলোতেও শুরু হবে কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা দপ্তরের পরিচালক মো. আবু সাঈদ জানান, ই-পাসপোটের্র প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তিনি জানান, ২০১০ সাল থেকে এমআরপি কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে হাতে লেখা পাসপোটের্র প্রচলন ছিল। এমআরপি চালু হবার আরো পাঁচ বছর পরে অর্থাৎ ২০১৫ সালের দিকে এসে হাতে লেখা পাসপোর্ট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আশার কথা হচ্ছে, মানুষ ই-পাসপোটের্র প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। যেমন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ৪৫৭, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৬৩৬ ও তৃতীয় সপ্তাহে ৭৫৫টি ই-পাসপোটের্র আবেদন জমা পড়েছে। বিষয়টি আমরা ইতিবাচক হিসাবে দেখছি।
আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এমআরপি পাসপোর্ট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আবু সাঈদ জানান, এ ধরনের অফিসিয়াল চিঠি আমরা এখনো পায়নি। এ ব্যাপারে কোন কিছু জানানো হয়নি। এখনো অনেকে এমআরপি’র জন্য আবেদন করছে। বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে বর্তমানে তিন হাজার এমআরপির আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে প্রায় এক হাজার প্রিন্ট হয়েছে।
ই-পাসপোটের্র সুবিধা : ই-পাসপোটের্র ইলেক্ট্রনিক চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্টিক তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়, বিশেষ চিপ রিডারের মাধ্যমে চিপে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করা যায়, ডিজিটাল সিগনেচার প্রযুক্তির মাধ্যমে চিপে সংরক্ষিত তথ্যের সঠিকতা যাছাই করা যায়, পাসপোর্ট বাহক নিজেই তার ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া দ্রুততম সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাসপোর্ট রিডার ও ক্যামেরার সাহায্যে ই-পাসপোর্ট যাচাই ও ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়, সীমান্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে অধিকতর কার্যকরী ও ই-পাসপোর্টধারীরা ই-গেট ব্যবহারের মাধ্যমে অধিকতর নিরাপত্তার সাথে ও স্বল্প সময়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।

ফেইসবুকে নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মন্তব্য লিখুন


Archive

© All rights reserved © 2021 Dainiksomor.net
Design & Developed BY N Host BD