মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকে নিজের জন্য সম্মানের বিষয় বলে অভিহিত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল ১১টায় দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠক শুর“ হয়। শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং নরেন্দ্র মোদি দিলি থেকে এতে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছর বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমি আমার শুভেচ্ছা জানাই। আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আমার জন্য একটি সম্মানের বিষয়।
আজকের বৈঠকে ভারতের পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি স্মারক ডাক টিকিট যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
একইসঙ্গে দুই দেশের সরকারপ্রধান চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল লাইন সংযোগ চালু করেছেন। ৫৫ বছর পরে আবার দুই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই রেললাইনটি চালু হলো। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর থেকে এই রেল লাইন বন্ধ ছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। কৃষি, বাণিজ্য, জ্বালানিসহ সাত খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে এ সমাঝোতা স্মারক সই করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।
সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে সংশিষ্ট ৭ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সচিব বা শীর্ষ কর্মকর্তা আর ভারতের পক্ষে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সই করেন।
সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে-কৃষি খাতে সহযোগিতা, হাইড্রোকার্বনে সহযোগিতার বিষয়ে রূপরেখা, হাতির সুরক্ষায় অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা, নয়াদিলি জাদুঘরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সহযোগিতা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু, বাংলাদেশ-ভারত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফোরামের ট্রাম্প অব রেফারেন্স এবং বরিশালে সুয়ারেজ প্রকল্পের বজর্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ হোসেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন