সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১০:১১ অপরাহ্ন
শহীদুল্লাহ কায়সার টিপু:
যেখানেই হাত দিয়েছেন সোনা ফলেছে। থিতিয়ে যাওয়া দাবাকেও তুলে এনেছেন মূলধারায়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম কুড়িয়েছেন উদ্যমী ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে। পেয়েছেন দক্ষিণ এশীয় দাবা কাউন্সিলে প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হওয়ার সম্মান। তিনি ড. বেনজীর আহমেদ। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। অনন্য ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীল ভাবনায় যিনি এগিয়ে।
পুলিশ বাহিনীতে নিজের গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বরাবরই তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করে আসছেন। অবহেলিত বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন প্রাণ পেয়েছে তাঁর উদ্যমী স্পর্শে। দাবার পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্ত করেছেন দেশের বড় শিল্পগোষ্ঠীকেও। পুলিশের বর্তমান এই প্রধানের হাত ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের ‘দাবা টুর্নামেন্ট’। পেশার চৌহদ্দি পেরিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের অগ্রযাত্রায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়েও।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ মনে করেন, শিশুর মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটাতে দাবা খেলাকে স্কুল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিভিন্ন সময় তিনি বলেছেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দাবা খেলার ব্যবস্থা করে দিতে পারলে তারা অনেক খারাপ কাজ থেকে সরে আসবে। স্কুল থেকে যদি দাবাড়ু তৈরি করা যায় তাহলে দ্রুতই আমরা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দাবার পড়াশক্তি হতে পারব।’
সার্ক অঞ্চলের আটটি দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান) দাবা কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত ভোটে তিনি দক্ষিণ এশীয় দাবা কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু ব্যক্তি মর্যাদাই নয়, দেশের সুনামও গড়েছেন বড় এই অর্জনে।
ক্রিকেট, ফুটবলে সরকারি-বেসরকারি নানা পৃষ্ঠপোষকতা থাকলেও দাবা ছিল তার ব্যতিক্রম। বুদ্ধির বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখা এই খেলাটির উৎকর্ষ সাধনে দেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী আবুল খায়ের গ্রুপকে যুক্ত করেছেন তিনি। র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালে ‘বাংলাদেশ স্কুল দাবা টুর্নামেন্টের’ পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আবুল খায়ের গ্রুপকে আহ্বান জানান বেনজীর আহমেদ। সাড়াও পান আশানুরূপ। গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয় তাদের সঙ্গে। সেই সুবাদে প্রতিবছর ৭৭ লাখ টাকা করে পাবে দাবা ফেডারেশন।
২০১৩ সালে সর্বশেষ জাতীয় স্কুল দাবা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৬ বছর পর বেনজীর আহমেদের হাতধরে স্কুল দাবার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। স্কুল দাবা ঠিকমতো করতে পারলে ভবিষ্যতে অনেক খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ‘স্কুল দাবা টুর্নামেন্ট’ স্থগিত রয়েছে।
ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, দাবা খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাসটেইনেবল পার্টনারশিপ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ে কাজ করছেন ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি দাবাকে ভালোবাসেন এবং তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চান। তার আমলেই ফাহাদ রহমান ও শিরিন সুলতানা নামে দুজন আইএম ছাড়াও বেশ কয়েকজন ফিদে মাস্টার বেরিয়ে এসেছেন। তাছাড়া প্রথমবারের মতো মহিলা দাবা লীগ হতে যাচ্ছে। যা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রথম।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শিশু-কিশোরদের জন্য স্কুল পর্যায়ে দাবাকে জনপ্রিয় করে তুলতে চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, মাঠে ময়দানে দাবাকে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ যেসব শীর্ষপদে দায়িত্ব পালন করেছেন, সবখানেই নতুন ভাবনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে বাহিনীর উন্নয়ন, এর সদস্যদের পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধি, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধ রচনা করে দেশসেবায় ব্রতী হয়েছেন। আইজিপির দায়িত্ব পাওয়ার পর সব সময় চেষ্টা করছেন থানার বাইরে পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার।
ঘরে ঘরে পৌঁছাতে চান দাবা:
দাবায় খরচ কম ও চর্চার জন্য তেমন জায়গারও প্রয়োজন হয় না। পুলিশপ্রধান বলেন, ‘ফুটবলের একটা বুট কিনতেই প্রচুর টাকা লাগে। সেই বুটের টাকা দিয়ে সম্ভবত বিশটা দাবার কোর্ট কেনা যায়। এই বিশটা বোর্ড দিয়ে আমরা চলিশজনকে খেলাধুলায় জড়িত করতে পারব। দাবার চর্চার জন্য কোনো ধরনের আবহাওয়ার দরকার হয় না। স্কুলের বারান্দায় বসে কিংবা বাসায় বসেও খেলতে পারবে। দাবার মাধ্যমে আমাদের জাতিকে আবারো বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ হবে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘দাবা চিন্তা শক্তির প্রসার ঘটায়। সেই সঙ্গে ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং, সাহস ও সক্ষমতা বাড়ায়। আমরা যদি দশ-বারো বছরের বাচ্চার মধ্যে ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিংয়ের ক্ষমতা বলিষ্ঠ করতে পারি, তাহলে সে যখন সমাজের সিদ্ধান্তদাতা হবে অবশ্যই ভালো কিছু করবে।’
দাবার বড় আসর:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় শুরু হয় ‘জয়তু শেখ হাসিনা’ আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা। দাবা ফেডারেশন এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। যেখানে দেশের গ্রান্ডমাস্টার ছাড়া ১৪ জন গ্রান্ডমাস্টার অংশগ্রহণ করেছে।
এতে প্রথম পুরস্কার ১২০০ ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮০০ ডলার ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫০০ ডলার দেওয়া হয়।
একই বছরের জুলাইয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় অনলাইন র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট ২০২০’ আয়োজন করে দাবা ফেডারেশন। প্রতিযোগিতার প্রাইজ মানি রাখা হয়েছিল দেড় লাখ টাকা।
দাবার পাশে আবুল খায়ের গ্রুপ:
আবুল খায়ের গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহিদুল্লাহ বলেন, ‘দাবার প্রেসিডেন্ট মহোদয় (ড.বেনজীর আহমেদ) আমাদের অনুরোধ করলেন, এরপরই আমরা এগিয়ে আসলাম। আসলে ফেডারেশন আমাদের ‘স্কুল দাবার’ জন্য বলেছিল। কারণ দাবা ছোট্টবেলা থেকে যদি আয়ত্ত না করা যায় তাহলে তো কিছু হবে না। একটু বয়স হয়ে গেলে অনেক কিছু সম্ভব হয় না। তখন আমরা চিন্তা করলাম স্কুল দাবায় আসলেই অনেক বড় শিল্পগোষ্ঠীকে যুক্ত করা যাবে। কিন্তু করোনার জন্য স্কুল দাবার আয়োজন সম্ভব হয়নি।’
করোনায় দাবা খেলা থেমে যেন না থাকে এজন্য কাজ করছে আবুল খায়ের গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘ফেডারেশনকে আমরা বলেছিলাম ছয়টা টুর্নামেন্টে স্পন্সর করব। এরই মধ্যে আমরা তিনটি টুর্নামেন্ট করেছি।’
শহিদুল্লাহ বলেন, ‘দেশে খেলাধুলার উন্নয়ন ও প্রসারে আমরা সব সময় কাজ করছি। প্রথমে আমরা গলফের সঙ্গে ছিলাম। দেখলাম গলফ এমন একটা খেলা, যেখানে বাংলাদেশের উন্নতি করার সুযোগ আছে। তখন আমরা গলফের স্পন্সর হওয়া শুরু করি। ক্রিকেটের সঙ্গেও আমরা যুক্ত ছিলাম। বিশেষ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ-বিপিএল এ আমরা দুটো স্পন্সর করেছি। এরপর আমাদের কাছে চিন্তাভাবনা হলো ‘ফিজিক্যাল ফিটনেস’ থেকেও ‘মানুষিক ফিটনেস’ বেশি দরকার। তাছাড়া মনোবিকাশ, মেধার বিকাশ এটা ‘দাবাতে’ সম্ভব। এটাতে গরিব-ধনী যে কেউ ভালো করার সুযোগ আছে। আমাদের দেশে দাবার প্রসারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। যে কারণে সহজে কেউ আসতেও চায় না।’
ড. বেনজীর আহমেদ দায়িত্বগ্রহণের পর জোনাল চ্যাম্পিয়নশীপ, সার্ক ও গ্রান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টসহ মোট চারটি আন্তর্জাতিক মানের বড় দাবা টুর্নামেন্ট হয়েছে।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ এশীয় দাবা কাউন্সিলের উপদেষ্টা সভাপতি সৈয়দ শাহাব উদ্দীন শামীম বলেন, ‘আমাদের বর্তমান সভাপতি দায়িত্বগ্রহণের পরে বিদেশে বয়সভিত্তিক যতগুলো খেলা আছে আমরা সবগুলোতে অংশগ্রহণ করেছি এবং আমরা নিজেদের খরচে তাদের বাইরে পাঠিয়েছি। কখনো কোনো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেইনি। এমনকি পকেট মানিও আমরা দিয়েছি। আগে আমরা কখনও বিদেশে কোনো বয়সভিত্তিক খেলোয়াড় পাঠাতাম না।’
সাংগঠনিকভাবে বিশ্ব দাবা সংস্থায় বাংলাদেশ সাংগঠনিক অবস্থা অনেক মজবুত করেছে। এছাড়া আবুল খায়ের গ্রুপ এক মাস পরপর উচ্চ প্রাইজ মানি দিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে। এতে দাবার সম্মান বৃদ্ধি পাবে, আর এতে মানুষের আগ্রহও বাড়বে বলে মনে করছে ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিরা।
সৈয়দ শাহাব উদ্দীন শামীম বলেন, ‘চলতি বছর প্রিমিয়ার লীগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২ ক্লাবের মধ্যে ১১টি ক্লাব বিদেশ থেকে গ্রান্ডমাস্টার, আইএম নিয়ে এসেছে। এতে একটা জমজমাট প্রিমিয়ার লীগ করতে পেরেছি। আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশে আমরা সারা দেশে জেলা দাবা লীগ চালু করতে যাচ্ছি। শুধুমাত্র ওনার কারণে, ওনার নির্দেশে। আগে যেটা কখনও হয়নি। কোভিডের কারণে দেশের সকল ফেডারেশনে স্থবিরতা আছে। কিন্তু আমরা একমাত্র ফেডারেশন যারা কোভিডের মধ্যে অনলাইন এবং অফলাইন মিলিয়ে বড় বড় আটটি টুর্নামেন্ট করে ফেলেছি।’
দাবা ফেডারেশনের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাঁর একটা বড়গুণ উনি দাবাকে ভালোবাসেন এবং তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চান। আমাদের একটা আক্ষেপ ছিল আমরা গ্রান্ডমাস্টার, আইএম পাচ্ছি না কেন? কিন্তু ড. বেনজীর আহমেদের আমলে আমরা ফাহাদ রহমান ও শিরিন সুলতানা নামে দুজন আইএম পেয়েছি। এছাড়া বেশ কয়েকজন ফিদে মাস্টার পেয়েছি।’
মহিলা দাবা লীগ:
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই প্রথম মহিলা দাবা লীগ হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আটটি দল খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, বাহিনীর সদস্যরা ফুটবল, কাবাডি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টনসহ খেলাধুলায় বিভিন্ন সময় সুনাম অর্জন করেছেন। আর আইজিপি স্যার সবসময় এসব বিষয় খেয়াল করেন এবং খোঁজখবর নেন।
আশাবাদী জাতীয় ক্রিকেট দলে পুলিশ খেলবে:
আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে জাতীয় ক্রিকেট দলে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা খেলবে বলে আশাবাদী আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এখন পরাশক্তি। তিনি চান, দুই-একজন পুলিশ যদি বাংলাদেশ টিমে ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে পারে, তাহলে তারা বাহিনীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করতে পারবে।
পুলিশ কর্মকর্তার বাংলা চ্যানেল পাড়ি:
পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের আমলেই প্রথম পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সাঁতারু মিশু বিশ্বাস কক্সবাজার টেকনাফের ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দিয়েছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে এডিসি হিসেবে কমর্রত। গত বছরের ৩০ নভেম্বর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সাঁতার শুরু করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার মাধ্যমে তিনি এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।
গত বছরের ৮ এপ্রিল দেশের ৩০তম আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান ড. বেনজীর আহমেদ। এর আগে র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন। মেধাবী, সৎ ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত বেনজীর আহমেদ ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
সূত্রঃঢাকা টাইমস
আপনার মন্তব্য লিখুন