মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবার পরীক্ষা ছাড়াই জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে তোলা হবে। তবে অটোপাসের এই সার্টিফিকেটে নম্বরপত্র ও জিপিএ থাকবে না, কেবল তাদের সনদপত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা মোতাবেক নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শিক্ষাবোর্ডগুলো জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের কাজও সম্পন্ন করেছে। বোর্ডগুলো সব শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ সনদ দেবে, কিন্তু কোনো নম্বরপত্র ও পাসের গ্রেড দেয়া হবে না।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যদিও নানা মাধ্যমে, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কিছুটা মূলায়ন করেছি। সে মূল্যায়নপত্রও আমরা সংগ্রহ করব। কিন্তু আমরা কোনো নম্বরপত্র এবার দিচ্ছি না, এ কারণে জেএসসি-জেডিসির সনদপত্রে জিপিএ উল্লেখ থাকবে না।
বাতিল হচ্ছে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর প্রথা : শিক্ষার্থীদের শ্রেণি রোল নম্বর প্রথা বাতিল হচ্ছে। রোল নম্বরের পরিবর্তে আইডি নম্বর দেওয়া হবে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে এটা কার্যকরের চেষ্টা করছে সরকার। মঙ্গলবার অনলাইনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রেণিতে যে রোল নম্বর থাকে, রোল নম্বরের যে প্রথা চলে আসছে, এতে অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাবের অভাব ঘটে। এই রোল নম্বরের কারণে সবাই সামনে আসতে চায়। আমরা চেষ্টা করছি ২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শ্রেণি রোল নম্বরের পরিবর্তে আইডি নম্বর প্রদান করতে। এতে পুরনো রোল নম্বর প্রথার বিলুপ্তি হবে। আর অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক থেকে সব শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। পুরো শিক্ষা জীবনে সে ওই আইডি নম্বর নিয়ে থাকবে, তাতে তাকে ট্র্যাক করা যাবে, সে ঝরে পড়ছে কি না।’
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ২০২১ সালের জুনে নেওয়া হতে পারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে ২০২১ সালের জুলাই-আগস্ট নাগাদ।
বই উৎসবের বিষয়ে ডা.দীপু মনি জানান, করোনার কারণে এবারের বই উৎসব একই দিনে সব শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। প্রতি শ্রেণির বই বিতরণে তিন দিন করে সময় দেওয়া হবে। অর্থাৎ ষষ্ট থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১২ দিনে বই বিতরণ করা হবে। তবে বরাবরের মতো ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বই বিতরণের কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন
আপনার মন্তব্য লিখুন